বুধবার, ২২ জুন, ২০১৬

আশার ভেলা




একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিলো। মোমবাতিগুলো একে অপরের সাথে তাদের
নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করলো।
..
--- প্রথম মোমবাতিটি বললো, ''আমি শান্তি। কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবেনা। আমি এখন নিভে যাবো।"
..
তারপর সেটি নিভে গেলো।
..
--- দ্বিতীয় মোমবাতিটি বললো, ''আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার আর জ্বলতে থাকার কোনো প্রয়োজন দেখছিনা। আমি এখন এখন নিভে যাবো।"
..
কথা শেষ করার পর দ্বিতীয় মোমবাতিটি নিভে গেলো।
..
--- তৃতীয় মোমবাতি এবার মুখ খুললো, "আমি ভালোবাসা। শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ নেই, তাই আমারো বেশিক্ষণ জ্বলার মতো শক্তি নেই। মানুষেরা আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে
সরিয়ে রাখে। শুধু তাই না, ওরা প্রিয় মানুষ গুলোকে পর্যন্ত ভুলে যায়।"
..
কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতিটিও নিভে গেলো। কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটি বাচ্চা প্রবেশ করলো, তিনটা নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে টিমটিমে জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতি দেখে বাচ্চাটি প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।
..
--- তোমরা জ্বলছো না কেন? তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিলো।
..
তারপর বাচ্চাটি কাঁদতে শুরু করলো। এবার চার নম্বর মোমবাতিটি মুখ খুলে।
..
--- ''ভয় পেয়ো না। আমি যতক্ষণ জ্বলছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে আবারো বাকি মোমবাতি গুলোকে জ্বালাতে পারো। আমার নাম আশা।"
..
বাচ্চাটি আশা নামের মোমবাতিটি দিয়ে একে একে বাকি মোমবাতি গুলোকে আবারো জ্বালালো। সমস্ত রুমটা আবারো উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠলো।
..
গল্পটি রূপক। হাজারও হতাশা, দুঃখ আর সমস্যার অন্ধকারে ডুবে গিয়ে আশা নামের আলোটিকে কখনোই নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়। কারন আশা না থাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি, বিশ্বাস এবং ভালবাসাও অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
--
--
সংগৃহীত 

ভালবাসি তোমার সবকিছু



আমি ওনাকে প্রথম যে উপহার দেই তা "এক
প্যাকেট
বেনসন লাইট"!
উনি আমায় প্রথম যা দেন তা, হুমায়ুন আজাদ এর
সম্পাদনায় একটি "কবিতার বই"।
প্রথম উপহারটা দেওয়া হয়েছিল বাক্সে এঁটে। ও
এবড়ো থেবড়ো রিকসার ঝাঁকুনির মাঝেই একটা পর
একটা বাক্স খুলছিল। শেষ বাক্স,অর্থাৎ সিগেরেট
এর বাক্সটা দেখে সে চমকে উঠে আমার দিকে তাকালো।
আমি হালকা হেসে মাথা নিঁচু করেছিলাম।
আমি সিগেরেট খাইওনা,পছন্দও করিনা। অথচ
সিগেরেট তার অভ্যেস।উপহারের মাধ্যমে শুধু তাকে
একটা মেসেইজ দেবার ছিল… "আপনার
সত্ত্বা,স্বাধীনতা পছন্দ বা অভ্যেস আমি কেড়ে
নিবোনা। এবং একি সাথে আমারটাও আপনি নেবেন না
আশা করি।চলুন এভাবেই শুরু করি প্রেম?!"
সে করেছে।আমার নিঃশব্দ আকাঙ্খা বুঝেছে
নিঃশব্দেই…
। সাব্বির রাগী,সাব্বির রুড
,সাব্বির চুপচাপ,সাব্বির ডোন্ট কেয়ার, সাব্বির
এটা দেখতে পারেনা ওটা পছন্দ করেনা কিন্তু
দিনশেষে সে আমার সাথে প্রাণখোলা,আমার চিন্তার
সে একমাত্র সহায়ক,আমার বিপদের সে অন্যতম
প্রিয় বন্ধু,আমার এডভেঞ্চারের সে একমাত্র
সঙ্গী,আমার হাসির সে দর্শক,আমার আবৃতির সে
একমাত্র শ্রোতা,আমার গল্পের সে একমাত্র
পাঠক,আমার পার্সোনালিটির সে একমাত্র
ফ্যান,এবং আমি যখন ডিপ্রেশন এ ভুগি সে
একমাত্র প্রভাবক যে বলে "তুমি যা করেছো,ঠিকই
করছো। তোমার যেকোনো সিদ্ধান্ত আমি শ্রদ্ধা
করি।কারণ তুমি জ্ঞানী। তোমার চিন্তা
বিস্তর।"!
আমি হাসি। হাসতেই থাকি।
ওর আমার উপহার দেওয়া নেওয়া সাধারণের মাঝেও
অসাধারণ।আমাদের ধারণা আমাদের মেয়ে হবে। এর
মাঝেই দেয়া নেওয়া হয়ে গ্যাছে
এক জোড়া ছোট্ট রাজকন্যার পায়ের জুতো, ছোট্ট
মোজা,ছোট্ট ফ্রক,(আমাদের মেয়ের চুল বড় হবে)তাই,
চুলের ক্লিপ, খেলনা… কত্ত কিছু!
আরো আছে ম্যাচ-কাঠির ঘর,লিখার খাতা,রিচড
ব্যান্ড,কালো টিপ,কাঠের চুড়ি,কবি ব্যাগ,অসংখ্য
বই অসংখ্য স্বপ্ন।
ভেবে চিন্তে দেখে শুনে আমরা একে অপরকে সে সকল
জিনিস ই দিয়েছি "যা আমার পছন্দ,আমার স্বপ্ন
নয়," যা ওর স্বপ্ন ওর উচ্ছাস"! …
কবে যেন ওর আমার স্বপ্ন একি হয়ে গ্যাছে টের
পাইনি।
গত রাতে একপ্রকার ঘুমিয়েই পড়েছিলাম। ঘুম
ভাঙলো তার ফোন কলে। হ্যালো বলার সুযোগ দিলনা
অপরপক্ষ। হরবর করে বলে গেল কি যেন… এই কি
যেন টা শুনতে বুকে খুব শান্তি পেলাম। " পারভেজ দা
ফোন করেছিলেন। বলেছেন আমি খুব ভালো
লিখি,আমি খুব ভালো জানি।যুগান্তরের স্পোর্টস
ডেস্ক টা এখম আমাকেই ডাকছে।আমি চাকরি পেয়েছি
চূড়া…"
কত অদ্ভুদ অদ্ভুদ কষ্টের দিন কেটেছে। কতদিন
মেইনস্ট্রিটে হাঁটাহাঁটি।বাসে ঝুলে ঝুলে ডেটে
যাওয়া,ব্যাংক ভেঙ্গে বইম্যালা,খুচরা পয়সা জমিয়ে
দেওয়া "নাইন্টি নাইনের গিফট"..রিকশা একটু
আধটু রোদে ঘোরা, দোকানে দোকানে চায়ের কাপে দশ
এর ভেতর নাম্বার দেওয়া, মাঝ রাত্তিরে টি এস সির
টিভিতে দেখা বাংলাদেশের ম্যাচ। কালো এই জঞ্জালে
ভরা মিথ্যে কথার শহরে তোমার আমার লাল নীল
সংসার…
সত্যি বলছি! কানের মাঝে অনবরত বেজে চলছে
"চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি চূড়া শুনছো…
সাংবাদিক সাহেব এখন সত্যি সত্যি সাংবাদিক।
ছোট মানুষ! হালকা কাঁধ! সে নাকি শার্ট টা ইন করে
অফিসে যাবে! হাহা… খুব খুশি হয়ে হরবর করে
বললাম… "কনগ্র্যাটস সাব্বির! আমি আপনার টাই
বেঁধে দেবার লোভ সামলাতে পারছিনা!" মুচকি হেসে
আমায় অবাক হয়ে সে জানিয়ে দিল… "তুমি অফিসে
যাবে, শাড়ির কুচি তো ঠিক করে দেবো আমি! প্লিজ
ভালো করে পড়ো। আমিও লোভ সামলাতে পারছিনা।"
#Collected_From:-#Kameliya_Sharmin_Chura

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১৬

বউ ও রোজা

এমনিতেই রোজার মাসে আমাদের মত ব্যাচেলর
দের কে অনেক প্রবলেম ফেস করতে হয়।
তবে সব চাইতে বড় প্রবলেম টা হয় সেহরী
খাওয়া নিয়ে। যেমন আমার হচ্ছে। রোজার আগে
রাতে হোটেল এ খাওয়া দাওয়া করতাম কিন্তু
সেহরীর সময় হোটেল ও বন্ধ থাকে তাই রুটি
কলা খেয়ে রোজা থাকতে হয়।যেটা খুবই কষ্ট
কর ব্যাপার।
.
বাসায় যে চলে যাব তারো কোন উপায় নাই।
অনেক গুলা টিউশন মিস হয়ে যাবে তাহলে । রান্না
বান্না অবশ্য পারি হালকা তবে সারাদিন রোজা রেখে
রান্না করার ও কোন প্রশ্নই আসেনা।
.
মেসে থাকলে অবশ্য এমন প্রবলেম হত না,কিন্তু
আমি মেসে থাকিনা।ভাল লাগেনা থাকতে।মোটামুটি
ভালই টাকা পয়সা ইনকাম করি তাই ভাড়া বাসাতেই একা একা
থাকি।
এ বাসায় আমি ভাড়া থাকি দোতলায়, দোতলায় অবশ্য
আমি একা থাকি না।আরো একটা ফ্যামিলি থাকে,তবে
ওরা নাই এখন। রোজায় গ্রামের বাড়িতে চলে
গেছে।
ওরা থাকলেও কিছু একটা ব্যাবস্থা করা যেত।
.
নিচে অবশ্য বাড়িওয়ালার ফ্যামিলি থাকে,তবে ওদের
কাছে সাহায্য চাওয়ার কোন মানে হয়না। বাড়ি ওয়ালার
সাথে আমার সম্পর্ক খুব খারাপের দিকে।
.
গতকালকের সেহরীতে রুটি আর কলা খেয়ে
ছিলাম,আজও একই কাজ করতে হবে।
তাই মুখ ধুয়ে এসে খাবার নিয়ে বসছি।তখনি গেট
ধাক্কানোর শব্দ।
একটু অবাকই হলাম,এত রাতে আবার কে?
.
গেট খুলে দেখি দিবা দাঁড়ায় আছে। মনে হচ্ছিল ওই
হবে। কারণ বাড়ি ওয়ালা যেচে আসবে না আমার
কাছে।তবে বাড়িওয়ালার মেয়ে আসতেই পারে।
.
গেট খুলে দিতেই দিবা সোজা হন হন করে
ঘরের ভিতর ঢুকে গেল।
বিছানায় বসে রুটি আর কলার দিকে তাকিয়ে বলল,
-এগুলা খাবা?
-হুম,
-অসুবিধা হবেনা,
-একটু হবে,ভাবছিলাম তুমি আমার জন্য খাবার নিয়ে
আসবা।
-শখ কত?
-শখের কি,প্রেমিকের জন্য এতটুকু করতে
পারবানা।এত কষ্ট করে রোজা রাখি দেখনা?
-উম,দেখি তো জান,
-কিছু করো তাহলে,
-হুম,করব।
-আর তুমি এখন এখানে কেন?
তোমার আব্বা খুঁজতে খুঁজতে এখানেই আসবে
দেখিও,
-আসবেনা,
-কেন?
-আব্বুই পাঠাইছে তোমাকে ডাকতে,
-বল কি? তোমার বাবা এত ভাল হইল কিভাবে?
-আমার আব্বু আগে থেকেই ভাল,
-তা ঠিক আছে। কিন্তু রাজি হইল কিভাবে?
.
এবার দিবার মুখে হাসি ফুঁটল।তবে আমি একটু
অবাকই,দিবার বাবা আমাকে অপছন্দ করেন,কঠিন রকম
অপছন্দ।
অবশ্য দিবার বাবার সাথে আমার আগে ভালই সম্পর্ক
ছিল,তবে যবে থেকে উনি ধরে ফেলেছেন
আমার আর দিবার মধ্য কিছু চলছে তখন থেকেই
আমাকে দুচক্ষে দেখতে পারে না।
এমন কি? বাড়ি ছাড়ারও অর্ডার ও দিছেন, আমি কোন
ভাবে ঈদ পর্যন্ত সময় নিছি।
তবে এখন উনি এত ভাল হচ্ছেন কিভাবে কে
জানে?
.
দিবা হাসি মুখেই বলল,
-বাবাকে বলছি,আমরা রেজিষ্ট্রি করছি।
-বলো কি?
-হুম,
-রাগ হয়নি,
-হইছে,কিন্তু কি আর করবে?
একটু আগে যখন খেতে বসব তখনি বাবা বলল
তোমায় ডেকে আনতে।
-খুব ভালো,,কাজের কাজ করছ একটা।
কিন্তু রেজিষ্ট্রি র কাগজ চাইলে?
-তা তো জানিনা?
-এক কাজ করব,কাল সকাল সকাল কোর্ট এ গিয়ে
রেজিষ্ট্রি করে আসব,
-সত্যি?
-হুম,
.
দিবার প্রতি খুশি হলাম,কাজের কাজ করছে একটা।
মেয়েটা এমন একটা বুদ্ধিমানের মত কাজ করবে
কে জানত।
.
দিবার সাথে সোজা গিয়ে উপস্থিত হলাম ওর বাসায়।
দিবাদের বাসায় ব্যাচেলর ছেলে কখনো এলাও
ছিল না,তবে আমার মামার বন্ধু দিবার বাবা তাই আর কি
বিশ্বাস করে বাসা ভাড়া দিয়েছিল।কিন্তু যখন দিবাকে
প্রথম দেখলাম সেদিন থেকে আর বিশ্বাস রাখতে
পারিনি। যে কোন মূল্য আমি দিবাকে চাইতাম।আর
কোন এক ভাবে আমাদের প্রেম ও হয়ে যায়।
.
দিবাদের বাসায় এ নিয়ে আমি কয়েক বার আসছি।
আগে মাঝে মাঝে আমার দিবাদের বাসায় খাওয়া দাওয়ার
সৌভাগ্য হত কিন্তু অনেক দিন থেকেই সেটা বন্ধ
হয়ে আছে।
দিবাদের ডাইনিং এ গিয়ে দেখি দিবার বাবা বসে আছে
খুবি গম্ভীর মুখ নিয়ে।যথাসম্ভব উনি আমাকে
ডাকতে চাননি, দিবার মায়ের জোড়াজুড়িতে
ডেকেছেন।দিবার মা মহিলা ভাল, খুবই ভাল।আমার প্রতি
ওনার কোন সমস্যা নাই। যা সমস্যা সবই দিবার বাবার।
.
দিবার বাবার চোখের সাথে চোখ পরা মাত্রই আমি
সালাম দিলাম।উনি উত্তর না দিয়ে আমাকে বসতে
বললেন।আমি বসে পরলাম একটা চেয়ারে।আমাকে
বসিয়ে দিবা কিচেনে চলে গেল।আমি আর দিবার বাবা
একা রয়ে গেলাম ডাইনিং রুমে।আমি কঠিন কিছু
শোনার প্রস্তুতি নিয়েছিলাম কিন্তু তেমন কিছু হল না।
ততক্ষনে ঘরে দিবার মায়ের প্রবেশ,আমাকে
দেখেই বললেন,
-তুমি আসছ বাবা?
-জ্বি আন্টি,
-ভাল করছ,একা একা কি না কি খাবা,
.
আমি উত্তর দিলাম না তবে সামান্য একটু হাসলাম।
খাবারের আইটেম দেখে মন খুশি হল।
কতদিন এরকম খাইনা?
জামাই মানুষ খেতে আসছি,রান্না তো ভাল হতেই
হবে।
যদিও সেহরীর সময় খাওয়ার বেশি রুচি হয়না তবে
খাবার টেবিলে ভাল কিছু থাকলে সামান্য হলেও রুচি
বাড়ে।
.
ততক্ষনে দিবা চলে আসছে।দিবা এসে আমার
পাশেই বসল। আমি ওকে ইশারায় বলে দিলাম ওর বাবা
কিছু বললে যেন চুপ করে থাকে।যা উত্তর দেয়ার
আমি দিব।
.
ভাত মুখে দেওয়ার আগ মুহূর্ত এ দিবার বাবা
জিজ্ঞেস করল,
-কবে করছ তোমরা?
.
আমি উত্তর দিলাম,
-কি?
.
দিবা আস্তে করে পাশ থেকে বলল,
-রেজিষ্ট্রির কথা বলতেছে।
-ওহ,,,
.
আমি দিবার বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম,
-গত সপ্তাহে,
-আচ্ছা,খাও,
.
খাওয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোন কথা হল
না,তবে আমি ভেবেছিলাম দিবার বাবা আরো কিছু
জিজ্ঞেস করবে?সে রকম প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম।
খাওয়া দাওয়া অবশ্য ভালই হল,দিবা দুই একটা আইটেম
নাকি রান্না করেছে সেগুলো আমার প্লেটে দিল।
মাঝে মাঝে খাচ্ছিলাম আর দিবার বাবার দিকে
তাকাচ্ছিলাম, ওনাকে দেখতে ভয়ই লাগছিল। বড় বড়
চোখ করে তাকিয়ে ছিলেন।
.
খাওয়া শেষ করতেই দিবার মা বলল,
-তোমার বাসায় জানে তোমাদের বিয়ের কথা?
.
আমি অবাক হয়ে বললাম,
-বিয়ে!
.
দিবা পাশ থেকে বলল,
-হ্যাঁ,আম্মু জানে।
.
আমি কি বলব ভেবে পেলাম না,কি হচ্ছে তাও জানিনা।
কোন রকম দিবাদের বাসা থেকে বের হয়ে
সোজা আমার ঘরে আসলাম।আমার পিছন পিছন দিবাও
আসল।
-এই তুমি ঠিকাছ?
-কি বলছ তুমি?
-বলছি বিয়ে করছি?
-তুমি না বললা রেজিষ্ট্রি করার কথা বলছ?
-ওটা বললে কাজ হত না,
-তাই বলে তুমি,
-হুম,তুমি একা একা কষ্ট করে এসব খাও, আমার ভাল
লাগেনা,,
-ও আচ্ছা,ধন্যবাদ।
.
দিবা কিছুক্ষন পর আবার বলল,
-এই তুমি কি রাগ করছ?
-নাহ,,রাগ হইনি।শুধু আশ্চর্য হইছি,ভাবতে পারিনি তুমি এমন
করবা,
-তাহলে হাসি মুখে একটা ধন্যবাদ দেও
.
আমি দিবার কথা শুনে হেসে ফেললাম।
-আচ্ছা,ধন্যবাদ।
.
কাজটা ভাল না খারাপ হইছে ঠিক বুঝতেছিনা।তবে
মনে হচ্ছে ভাল।বিয়ে তো দিবাকে করতেই
হবে,তো আগে থেকে জানলেই বা সমস্যা কি?
আরামসে রোজার মাস টাতো কাঁটবে তাই অনেক।
.
.
.
-নাহিদ পারভেজ নয়ন

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

ভালবাসার ধাক্কা







পর্বঃ ১

এই যে দিনেরবেলা কি আকাশে চাঁদ দেখেন?
-আপনি কি রাস্তায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে হাঁটেন?
-অবশ্যই না।
-তাহলে গায়ের উপরে পড়লেন কেন?
-কি! আমি আপনার গায়ের উপর পড়েছি?
-তাহলে কি আমি আপনার গায়ের উপর পড়েছি? নাকি স্মার্ট ছেলে দেখলেই গায়ের উপর পড়তে ইচ্ছে করে?
-আপনি স্মার্ট??? নিজেকে আয়নাই কখনো দেখেছেন? পুরা বাদর একটা😞
-আমার আয়নার প্রয়োজন হয়না, মেয়েরাই সবসময় আমার আয়না হয়ে আপনার মত পিছন পিছন ঘুরে।
-আমি আবার কখন আপনার পিছন পিছন ঘুরলাম?
-এই যে একটু আগে আমার গায়ের উপর এসে পড়লেন।
-অসভ্য 😞
-নামটা আপনার সাথে ভাল মানাইছে, তা বাবার নাম কি?
-ইতর😞
-বাহ্! বাবা মেয়ের ভাল মিল আছে☺
-ধুরররররর
-যা.... চলেই গেল!
-কিরে আতিক এখানে কি করছিস?
-আর বলিসনা! একটা মেয়ে আমাকে ধাক্কা দিল তারপর আবার আমার উপরেই দোষ চাপাতে চাইল, কেমন লাগে বল?
-তা দোস্ত থাপ্পর টাপ্পর কিছু দেই নাই'ত?
-আজব! আমাকে? এই আতিককে থাপ্পর দেওয়ার লোক এই কলেজে আছে?
-হয়ছে, এবার চাপাবাজি বন্ধ করে চল ক্লাসে যাই।
-চল।