বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১৬

ফুটবল ও ভিখারি মেয়ে




পরীক্ষা শেষ, ভার্সিটিও বন্ধ দিছে।
সারাদিন বাসায় ঘুমাইয়া আর টিভি দেখে
দিন পার করতেছিল শুভ্র।
বিকালে মাঠে যাইতেই অয়ন ভাই শুভ্রকে
ডাক দেয়।
,
>অই শুভ্র!(অয়ন)
>হুম। বলো।(শুভ্র)
>খেলবি??
>কি?
>ফুটবল
>আমিত ক্রিকেট ছাড়া আর কিছু পারিনা।
>সেটা আমিও জানি। তবুও একজন ডিফেন্ডার
শট আছে।তুই চাইলে ওর জায়গায় খেলতে
পারিস।
>ছোট ছোট পাস ই দিতে পারিনা, আর বিগ শট
মারমু?কখনো হাত পা ভেঙ্গে বাসায় গেলে
আম্মু বলছে রাস্তায় থালা একটা দিয়া
বসাইয়া দিব।
>আরেহ কিচ্ছু হবেনা। একদিনইত।
,
মনটা কেন জানি সায় দিচ্ছিল।তাই খেলতে
রাজি হয়ে গেল।খেলা সুন্দর ভাবে চলছে।
শুভ্রর সামনে বল আসলেই বুকের ভিতরটা
চিরিক দিয়া উঠে।সবাই বা পায়ে শট মারে
আর শুভ্র ডান পায়ে। তাও পারফেক্ট নাহ।
ডানে মারলে বায়ে, আর বায়ে মারলে
সোজা যায় ওর বল।তার উপর হটাৎ একবার বিগ
শট মারতেই মাঠের বাহিরে এক মেয়ের
মাথায় যেয়ে লাগে ফুটবলটা। মেয়ে চশ্মা
পড়া ছিল চশ্মা খুলে মাটিতে পড়ে যায়।
কাধে ব্যাগ আর হাতে একটা প্লেট ছিল
কাচের। সেটা মাটিতে পড়েনি পুরোপুরি
ভাবে।তাই ভাঙ্গেনি।
মেয়েটির সেন্সলেস অবস্থা। মুরব্বি কয়েকজন
এগিয়ে এসে মাথায় পানি দিতে বলল।আর
ফুটবল খেলারে নিয়া যাচ্ছে তাই বলতে
লাগল।একসময় যে বল মারছে তারে বাধার
কথা উঠতেই শুভ্র চৌদ্দপুরুষের নাম
উলটাপালটা মুখে নিয়াই দৌড়। বাসায় যেয়ে
রেফ্রিজারেটর থেকে পানি বের করে
খেয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল।কপাল থেকে ঘাম
ঝরছে।মনে মনে ভাবছিল নিশ্চয় পাগলা
কুকুরে কামড়াইছিল তাই আজ ফুটবল খেলতে
গেছে আর আজকেই দুর্ঘটনা ঘটল।অয়ন ভাইরে
ফোন দিল একটু রেস্ট নিয়া।
,
>হ্যালো ভাইয়া(শুভ্র)
>হুম।কোথায় তুই??
>এইত বাসায়, কেন কিছু হইছে?
>এত্ত জোরে শট মারতে গেছিলি কেন?
মেয়ের মাথা ফাটছে মাটিতে পড়ে।
>বাহ আমি কি করলাম?আমিত গোল খাওয়া
থেকে বাচাঁইলাম আর এখন আমারি দোষ?
>ডান পায়ে না মেরে বা পায়ে মারতে
পারলিনা?
>মারছি যে এইটাই বেশি।
>হারামি
>মেয়েটা কি ফকির ছিল ভাইয়া??
>কি কস এইসব??তোদের বাসাতে নতুন আসছে
দেখোসনাই আগে??
>আমিত ভার্সিটি ছাড়া রুমের থেকে বের
হইনা।আর ছাদেও অনেকদিন হইছে যাইনা।
তাছাড়া মেয়ের হাতে প্লেট ছিলত তাই
বললাম।
>কাচের প্লেট নিয়া কেও ভিক্ষা করে??আর
পোশাক দেখলেওত বুঝা যায়। তোর মত গাধা
খুব কমই আছে।মেয়েটার বাবা যেন কি কিনে
দিয়েছিল সেটার সাথে কাচের প্লেট ফ্রি
ছিল। কোচিং থেকে আসছিল মেয়েটা।
বাসায় আর ফিরার আগেই হসপিটালে
পাঠাইয়া দিছোস তুই
>আমিত ইচ্ছা করে করিনাই।
>জানি বাদ দে।আমি ম্যানেজ করবো।তুই
টেনশন নিসনা।
>আচ্ছা।বাই।
>বাই।
,
অতঃপর অয়ন ভাইয়ের কথায় শুভ্র স্ট্রেস ফ্রি
হইল।ভয় শুধু শুভ্রর বাপেরে নিয়া।উনি জানতে
পারলে শুভ্রর সাথে ফ্যানের বিয়ে করিয়ে
দিব।অবশ্য তা আর হয়নি।দুইদিন পর হটাৎ শুভ্র
বাসা থেকে বের হবার সময় দেখলো দরজার
সামনে একটা চশ্মা পড়া মেয়ে তার মধ্য
বয়সী একটা লোককে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মেয়ের মাথায় ব্যান্ডেজ করা দেখে শুভ্রর
বুঝতে বাকি রইলোনা ইনিই সেই অভাগীনি।
যাকে শুভ্র প্রথমবারের মত মাথা ফাটাইতে
সাহায্য করছে।শুভ্র ভাবলো যে তার বাবার
কাছে মনে হয় বিচার দিতে আসছে।
,
>আসসালামু আলাইকুম আংকেল।(শুভ্র)
>ওলাইকুম আসসালাম।তোমার বাবা কি
বাসায় আছে?(লোকটা একটু গম্বীর স্বরে)
>হ্যা।কিন্তু কেন?
>সাইড দেও।আর উনাকে ডাক দেও।বলো যে
একজন উনার সাথে দেখা করতে এসেছে।
>আচ্ছা।ভিতরে আসুন।
,
শুভ্রর হাত পা কাপাঁ শুরু করছে বিদ্যুৎ
চমকানোর গতিঁতে।
পরে জানা গেল উনার বড় মেয়ের বিয়ে তাই
দাওয়াত দিতে আসছে।শুভ্র প্রায় বেচেঁই
গেছিল।কিন্তু ওর বাবা শেষ পর্যন্ত ওরে
এগেইন টেনশন দিল।মেয়েটাকে সাথে দেখে
শুভ্রর বাবা লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো,
,
>এই মেয়েটা কে?(শুভ্রর বাবা)
>আমার ছোট মেয়ে সুপ্তি।ইন্টার সেকেন্ড
ইয়ার।আংকেলকে সালাম করো মামুনি।
(মেয়েটাকে বলল)
.
মেয়েটা শুভ্রর বাবার পা ছুয়েঁ সালাম করে।
.
>তা তোমার মাথা এরকম হলো কিভাবে?
>আর বলবেন না ভাইজান। বখাটে ছেলেরা
সারাদিন ফুটবল খেলে,আর বল মেরে
একেকজনের এই হাল করে।
>আমার ছেলে ওদের থেকে শতগুনে ভাল।
অনার্স থার্ড ইয়ার।অথচ কখনো ফুটবল
খেলেনি।বাসা থেকেই খুব কম বের হয়।শুভ্র
খোজঁ নিয়ে দেখতো কে এই কাজ করছে।
তারপর আমি দেখছি।
>ধন্যবাদ ভাইজান।আমি আসি এখন।আরো
অনেককেই জানাতে হবে।
>আচ্ছা,কোনরকমের সাহায্য সহযোগিতা
লাগলে বলবেন।আমি না থাকলে আমার
ছেলেরে বলবেন।
>আচ্ছা,আসি।
.
শুভ্র ওর বাপের কাছে ওর নামে প্রশংসা
শুনে অবাক।কারন যখন জানবো কাজটা উনার
গুনোধর ছেলেরি তখন শুভ্ররে ছাদ থেকে
ফেলে দিবে সিউর।
খুব রাগী ওর বাবা।
রাতে ছাদে যেয়ে কানে হেডফোন লাগিয়ে
গান শুনছিল। এমন সময় দেখলো সুপ্তি ফোনে
কথা বলতে বলতে ছাদে আসছে।বান্ধবীদের
সাথে সাজেশন নিয়া কথা বলতেছে। শুভ্র
মাঝে মাঝে আড়চোখে তাকায়
মাথার ব্যান্ডিজের দিকে চোখ পড়তেই
পলকেই চোখ অন্যদিকে ঘুরে যায়।বারবার
ভাবছিল মেয়েটাকে স্যরি বলবে।বাট ভয়ে
আর বলেনি।মেয়েদের আবার বিশ্বাস করেনা
শুভ্র বেশি একটা।ওর বাবার কাছে যেয়ে
বললে খবর আছে ওর।
তারপরে মেয়ের সাথে দেখা হয় মেয়ের
বোনের বিয়েতে। এইবার শুভ্র দেখলো যে
মেয়ে মাথা ব্যাথার কারণে বেশি কাজ
করতে পারছেনা।এইবার শুভ্র বুঝলো যে
আসলেই অন্যায় করে ফেলছে সে।
পরেরদিন রাতে মেয়েটার সাথে শুভ্রর ছাদে
দেখা হয়।
,
>কেমন আছেন?(শুভ্র)
>এইত ভাল।আপনি??(সুপ্তি)
>ভালোই।আপনার মাথার অবস্থা কি??
>আসলে ওইদিন হটাৎ করে বল লাগছিল আর
পিছনে পড়ে গিয়েছিলামত তাই আঘাতটা
বেশিই পাইছি।আজ সকাল থেকে ব্যাথা
নেই।
>আচ্ছা যে মারছে তাকে যদি এখন আপনার
সামনে এনে দেই তাহলে কি করবেন?
>এইটা কততম ফ্লোর?
>৭তলা।
>কম হইয়া গেছে। তবুও চলবে।এইখান দিয়ে
ফেলে দিবোনা।রশি দিয়ে মাথা নিচু করে
পা বেধে ঝুলিয়ে রাখব।
>যদি স্যরি বলে?(অনেকটা ভয় পেয়ে যায়)
>কোন রক্ষা নেই।বদমাইশটার জন্যে আমি
আমার বোনের বিয়েতে ঠিকমত কাজ করতে
পারিনাই।
>আচ্ছা বিয়েতে সবাইকে দেখলাম।আপনার
আম্মুকে যে দেখলামনা।
>আমার আম্মু নেই।দুইবছর আগে মারা গেছে
ক্যান্সারে।
>স্যরি।
>আর কিছু বলবেন?
>আসলে একটা কথা বলতাম।
>বলেন।
,
শুভ্র কিছুক্ষন আড়চোখে চারপাশ দেখলো।
তারপর ছাদের গেটের সামনে আসলো।
,
>কিছু মনে করবেন নাতো??
>নাহ, বলেন।আর আপনি এত ভয় পাচ্ছেন কেন??
ভার্সিটির ছেলেরা ভীতু হয় তা জানতাম।
কিন্তু এত হয় জানতাম নাহ।মনে হচ্ছে
ফুটবলটা আপনিই মারছিলেন।
>আসলে আমিই মারছি।
,
শুভ্র কথা বলেই তিন চার সিড়িঁ গ্যাপ রেখে
উড়াধুরা লাফ দিয়া নেমে যায়।মেয়েটা কি
রিপ্লে দিবে তার জন্যও অপেক্ষা করেনা।
রুমে যেয়ে দরজা লাগিয়ে একটা লম্বা ঘুম
দেয়।শুভ্র ভেবেছিল মেয়েটা তার বাবার
কাছে বিচার দিবে।কিন্তু দেয়নি।পরেরদিন
মেয়েটার সাথে শুভ্রর হটাৎ রাস্তায় দেখা
হয়।মেয়েটা তার বান্ধবীদের সাথে কথা
বলছিল বাসার নিচে।শুভ্র বাসায় যেতে
পারছিলনা শরমে। সুপ্তি অবশেষে ডাক দেয়
ওরে।
,
>আর কতক্ষন দাঁড়িয়ে থাকবেন?বললেইত হয়
যে সাইড দেন ভিতরে যাবো।
>না মানে আসলে কিছুনা।আমি এমনিতেই
হাটছিলাম।
>বুঝছি।যাইতে চাইলে যেতে পারেন।
>কোথায় যাবো?
>আমার বাসায় যাবেন?জামাই আদর করবে
আমার আব্বু। যাবেন??(মুচকি হাসি দিয়ে)
>না থাক।লাগবেনা জামাই আদর।(ভয় পেয়ে
যায়)
,
শুভ্র চুপচাপ মাথা নিচু করে উপরে চলে যায়।
ধীরে ধীরে মেয়েটাকে শুভ্রর ভাল লেগে
যায়।চশ্মা পড়া, লম্বা চুল, দেখতেও সুন্দর।
ব্যবহারও যথেষ্ট ভাল।শুভ্র প্রায়ই ছাদে
যেয়ে বসে থাকতো সুপ্তিকে দেখার জন্যে।
কখনো হাই,হ্যালো বলার সাহস করতোনা।শুধু
কানে হেডফোন লাগিয়ে আড়চোখে
মেয়েটার দিকে মাঝে মাঝে তাকিয়ে
রইতো।মেয়েটাও বুঝতো কিন্তু কখনো বুঝতে
দিতোনা।প্রায় একমাস চলে গেছে।কেও
কারো সাথে কথা বলেনা।শুভ্র আজ হটাৎ
মেয়েটাকে হাই বলল।
,
>সূর্য আজ কোনদিকে উঠেছে স্যার?(সুপ্তি)
>সর্বদা যেইদিকে উঠে।
>ওহ ভাল।কেমন আছেন?
>ভাল।আপনি?
>ভালই।
>আপনি কি আজ রাতে বিজি থাকবেন?
>হ্যা,পরীক্ষা সামনে।কিন্তু কেন?
>আজ আমার জন্মদিন। বাসায় একটা ছোট্ট
আয়োজন করছিলাম।যদি আসতেন।
>আচ্ছা দেখি আমি।
>ধন্যবাদ।
>আপনের বাবা যদি মাথা ফাটানোর বিষয়টা
তুলে?তখন কি হবে?
>আমি যাই। বাই
,
শুভ্র ভয়ে আবার দৌড়ঁ দেয়।
রাতে শুভ্রর বাসায় মিউজিক প্লে হচ্ছে।
শুভ্রর কিছু বন্ধুবান্ধব আর বড় ভাইয়েরা
আসছে।শুভ্র এখন শুধু সুপ্তির আসার ওয়েট
করছে।অনেকে অনেক কিছু গিফট করেছে।
কিন্তু সবই অপূর্ন লাগছে।হটাৎ কালো শাড়ী
পড়া একটা মেয়েকে দেখে শুভ্র পুরোই
অবাক।ওর বন্ধুরাও ক্রাশ। চোখে কাজল,হাতে
কালো সাদা কাচের চুরি, কপালে ছোট্ট টিপ
একটা।হাতে একটা ছোট প্যাকেটে মোড়ানো
কি যেন নিয়ে এসে শুভ্রকে দিল।
,
>আমি চলে গেলে এইটা ওপেন করবেন।ঠিক
আছে?(সুপ্তি)
>আচ্ছা।
,
শুভ্র তাড়াতাড়ি কেক কেটে বন্ধুবান্ধবদের
খাওয়া দাওয়া করিয়ে নিজের রুমে যেয়ে
দরজা লাগিয়ে সুপ্তির দেওয়া উপহারটা
দেখতে লাগলো।
একটা ছোট্ট তাজমহল।যেটার নিচে ব্লু
সাইনপেন দিয়ে লিখা তোমার আমার
স্বপ্নের রংমহল।আর গিফটের মোড়কে নামের
জায়গায় লিখা ছিল ছাদে এসো।শুভ্র দৌড়ঁ
দিয়ে ছাদে গেল।
যেয়ে দেখলো সুপ্তি আকাশের দিকে
তাকিয়ে আছে আনমনে।
,
>আপনি এখানে?(শুভ্র)
>আপনার জন্যেই।
>কেন?
>এমনি।আকাশের তারাগুলো অনেক বেশি
তাইনা?
>হ্যা।
>মাঝে মাঝে গুনতে খুব ইচ্ছে হয়।কিন্তু গুনতে
যেয়ে চাদঁটাকে হারিয়ে ফেলব বলে আর গুনা
হয়না।
>হুহহ
>আপনি এত ভীতু কেন?
>কোথায়??
>এইযে শার্ট ঘামে শেষ।হাটু কাপঁছে।
,
আসলে শুভ্র অধিক এক্সাইটেড থাকায়
ঘামাচ্ছিল ঠিকই।কিন্তু তখন হাটু কাপছিঁল
না।সুপ্তির কথা শুনে হাটু কাপাঁ শুরু করে
দেয়।
,
>এমনিতেই।(শুভ্র)
>ওহহহ আপনি মনে হয় অনেকদিন ধরেই কিছু
বলতে চাচ্ছেন আমায়??
>হ্যা।তা অবশ্য ঠিক।(শুভ্র ঘামতে ঘামতে
শেষ)
>কি বলেন।
>আচ্ছা ফোনে টাইপ করে দিলে প্রবলেম
হবে?
>না
,
শুভ্র পকেট থেকে ফোন বের করে টাইপ
করতে লাগলো।মাথা হ্যাং কি লিখবে আর
কি করে ভালবাসার কথা বলবে।সকালে
একটা মেসেজ লিখছিল ওর জন্য সেইটা
খুজঁতে লাগল,
মেসেজটা ছিল,"হুম,তোমাকে বলবোনা আমায়
ভালোবাস।শুধু বলবো তোমাকে ভালবাসার
সুযোগটা দিও।তোমার সাথে রোজ সকালে
ধুয়ো উঠা গরম চায়ে চুমুক দেওয়ার সুযোগটা
দিও।রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে যেন
তোমার মিষ্টি হাসিটা দেখতে পাই এই
সুযোগটা দিও।তোমাকে অফুরন্ত ভালবাসার
সুযোগটা দিও।তোমাকে রোজ সকালে যেন
বলতে পারি বাবু তোমাকে এত্তগুলা
ভালবাসি।এই সুযোগটা দিও।কি দিবে কি
আমায়?
,
>এইটা বলতে চাইছিলেন??(সুপ্তি)
>জ্বি।
>কালবলবো এখন আপনি দৌড়ঁ দিবেন সেটা
আমি জানি।
>না দিবোনা বলেন।
>বলছিনা কাল দিব?নাকি আপনের আব্বুর
কাছে বিচার দিব?
>আমি গেলাম।শুভ রাত্রী।
,
শুভ্র আবার দৌড়ঁ দেয়।আজ রাতে তার চোখে
ঘুম নাই।অপরদিকে দৌড়াঁনোর সময় সুপ্তির
চোখে মুচকি হাসি দেখতে পাচ্ছিল।
পরেরদিন রাতে শুভ্র ছাদে যাওয়ার সময়
দেখলো সুপ্তির বান্ধবীরা ছাদ থেকে
নামছে আর বলছে যে ছেলেটারে এইরকম
সাজা দেওয়াই উচিৎ।যেখানে সেখানে
খেলবে আরর মেয়েদের মাথা ফাটাবে।শুভ্র
কথাগুলো শুনে পুরো অবাক।ছাদে যেয়ে
দেখল সুপ্তি বেঞ্চে বসে আছে।
,
>কেমন আছেন?(শুভ্র)
>অসম্ভব ভাল।আপনি?
>এইত বেচেঁ আছি।(চোখ ভিজা)
>কি হইছে?
>কিছুনা।আমার গতকালের প্রশ্নের
রিপ্লেটা?
>হুম।রাজি।
>কি রাজি?(শুভ্রর চোখের পানি নিমিষেই
ভ্যানিষ)
>আপনার প্রোপজাল একছেপ্ট করলাম।
>এইভাবে হবেনা।প্রোপজ লেটার দেন।
>ফোন দেন।আমিও টাইপ করে দিচ্ছি।
>এই নেন।
,
শুভ্র ফোনটা সুপ্তির কাছে এগিয়ে দিল।
সুপ্তি লিখল"আমি প্রোপজ লেটার কখনো
লিখিনি,আর সবার মত সুন্দর করে বলতেও
পারিনা বাট এতটুকু বলতে পারি,,,,,,
আমি তোমাকে ভালবাসি,হুম মন থেকে
ভালবাসি।সবার মত করে নয়, নিজের মত করে
ভালবাসি।
,
শুভ্র কি করবে বুঝতে পারছেনা।মানুষ কষ্টে
আত্বহত্যা করে।শুভ্র সুখে ছাদ থেকে লাফ
দিতে গেল।
,
>এই কি করছেন?(সুপ্তি)
>আত্বহত্যা
>কেন?(আশ্চর্য হয়ে গেল)
>খুশিতে
>আপনার কিছু হলে আমার কি হবে?
>তাইতো।আচ্ছা করছিনা আত্বহত্যা। কথা
দিন জনম জনম পাশে থাকবেন।(চিৎকার
দিয়ে।)
>কথা দিলাম।
,
শুভ্র সুপ্তির কাছে আসলো।দুজন দুজনের
কপাল একসাথে মিশালো।দুজন দুজনের চোখে
অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।
,
,,
,
,
,
লেখকঃশুভ্র শিশির

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন